আমাদের সম্পর্কে

বাংলাদেশের একটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,যশোর জেলার, বাঘারপাড়া উপজেলার, ৫নং ধলগ্রাম ইউনিয়নে অবস্থিত ধলগ্রাম মাধ্যমিক বিদ্যালয়। বৃটিশ আমলে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টি ১৯৩৯ সালে ১.৪৬ শতক জমির উপর কাঁচা পোতা টিন শেড ঘরে মাত্র ১৯ জন ছাত্র নিয়ে নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসাবে আত্নপ্রকাশ করে।পরবর্তিতে ১৯৪৭ সালে দেশ বিভক্তের পর বিদ্যালয়টি পূর্ব পাকিস্থানের একটি অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসাবে সুনাম অর্জন করতে থাকে, তারই ধারাবাহিকতায় বিদ্যালয়টি ১৯৫৭(মতান্তরে ১৯৫৮) সালে মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসাবে স্বীকৃতি লাভ করে। পরবর্তি পর্যায়ে বিদ্যালয়টি উন্নয়নের জন্য বিশেষ অবদান রাখেন মো: রফি উদ্দীন আহমেদ, মো:আব্দুস সামাদ সরদার, ডা: মো: জালাল উদ্দীন সহ প্রমুখ। বর্তমানে বিদ্যালয়টি ৪.৭৩ একর জমির উপর, ১টি পুকুর, ১টি মসজিদ, ১টি আধাপাকা টিন শেড, ১টি ৩ কক্ষ বিশিষ্ট পাকা ভবন, ১টি ৯ কক্ষ বিশিষ্ট তিনতলা ভবন, সম্পূর্ণ পৃথক কম্পিউটার রুম, পৃথক লাইব্রেরী রুম, বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্নার, পৃথক বিজ্ঞানাগার সহ বিশাল এক খেলার মাঠ নিয়ে অবস্থিত। বিদ্যালয়ের প্রথম প্রধান শিক্ষক হিসাবে দ্বায়িত্ব পালন করেন কালীপদ সমাদ্দর। বিদ্যালয়ে এখন প্রায় ২০ জন শিক্ষক কর্মচারি কর্মরত আছেন। বিদ্যালয়টিতে প্রায় ৩৫০ জন ছাত্র-ছাত্রী পড়াশুনা করে।বর্তমানে প্রধান শিক্ষক হিসাবে দ্বায়িত্ব পালন করছেন মো:মাহফুজুর রহমান।

এই বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করা অনেক ছাত্র-ছাত্রী সুনামের সাথে দেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ে প্রতিনিধিত্ব করে আসছেন, তার মধ্যে অন্যতম একজন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক স্বাস্থ্য সচিব জনাব মো:মনিরুজ্জামান (আদম সূফী),উল্লেখ্য বিদ্যালয়ের দুটি সুন্দর পাঁকা ভবন তারই অবদান।এই বিদ্যালয়ের অনেক ছাত্র ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহন করে ছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম একজন হলেন জনাব একেএম ইসহাক (বীরপ্রতীক)। আমি এই বিদ্যালয়ের একজন সাবেক ছাত্র হিসাবে নিজেকে ধন্য মনে করি।আসুন আমরা সকলে এই বিদ্যালয়ের সফলতা কামনা করি।